কিভাবে ফেস এপ ভাইরাল হলো ইন্ডিয়াতে?/ How Face App went viral in India ?
![]() |
viral face app |
কয়েক দিন যাবোদ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি নিজের নিজের বয়স্ক ফটো শেয়ার করার ধুম পরে গিয়েছে। এমনকি সেলিব্রিটিরাও এই তালিকা থেকে ব্যাড নাই। এই বিষয়টি শুধু মাত্র ইন্ডিয়াতেই দেখতে পাচ্ছি। এই নিয়ে ব্লগার ,ইউটিউবার এবং বিভিন্ন নিউস চ্যানেলও মেতে উঠেছে। এমনকি বয়স্ক মানুষেরাও তাদের ইয়ং ফটো পোস্ট করা নিয়ে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখাচ্ছে। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে অনেক কিছুই সামনে এলো। সবার প্রথমে আমাদের জানা উচিত কিভাবে এত সহজে তৈরি হচ্ছে ইয়ং ফটো থেকে বয়স্ক ফটো এবং বয়স্ক ফটো থেকে ইয়ং ফটো ?
এই ইয়ং ফটো থেকে বয়স্ক ফটো এবং বয়স্ক ফটো থেকে ইয়ং ফটো তৈরির পিছনে সমস্ত কারসাজি একটি মোবাইল অপ্প্লিকেশনের। এই অপ্প্লিকেশনের নাম ফেস এপ। এই অপ্প্লিকেশনটি মোবাইল-এর প্লে-স্টোরে পর্যাপ্ত।
ফেস এপ-এর বিবরণ।
ফেস এপ হলো একটি মোবাইল এপ্লিকেশন। এই অপ্প্লিকেশনটি iOS এবং এন্ড্রয়েড-এর জন্য। এই অপ্প্লিকেশনটি Wireless Lab নামক রাশিয়ান কোম্পানি। এই অপ্প্লিকেশনে ব্যবহার করা হয়েছে নিউরাল নেটওয়ার্ক টেকনোলজি যা অটোমেটিক উচ্চ মানের সত্যিকারের মতো ফটো এডিট করে। এই টেকনোলজি মানুষের মুখের আদল অনুযায়ী ইয়ং থেকে বয়স্ক এবং বয়স্ক থেকে ইয়ং ফটো জেনারেট করে এবং জেন্ডার পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে।
ভাইরাল হওয়ার কারণ।
যে কোনো এপ্লিকেশন জনপ্রিয় করতে হলে সেই এপ্লিকেশন কোম্পানিটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করে থাকে। সেই কারণে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন লক্ষ করে থাকি। বিজ্ঞপন অনুযায়ী মার্কেটের মানুষ যদি ইন্টারেস্টেড থাকে তাহলে সেটি প্রচুর মানুষ গ্রহণ করে থাকে। সেটি ব্যবহার করার পর তার কার্যকরী ক্ষমতা অনুযায়ী অন্যদেরও বিষয়টি শেয়ার করে থাকে। এইভাবে যখন প্রচুর মানুষ বিষয়টি নিয়ে চর্চা করতে থাকে তখন বিষয়বস্তুটি ভাইরাল হয়ে যায়। আর এইভাবেই ইন্ডিতে ফেস এপ ভাইরাল হয়েছে।
এই এপ ব্যবহার করার জন্য কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ?
আমরা কোনো এপ্লিকেশন নিজেদের মোবাইল ডাউনলোড করার পর সেটি ইন্স্টল্ হওয়ার পর সেটি ব্যবহার করতে পারি। ইনস্টল করার পর ব্যবহার করার জন্য ওপেন করতে হয়। যখন কোনো অপ্প্লিকেশনটি ওপেন করি সেই অপ্প্লিকেশনটিকে কিছু পারমিশন দিতে হয়। এই পারমিশন দেয়ার ফলে আমাদের মোবাইলের কিছু ডাটা ওই এপ্লিকেশন কোম্পানির কাছে চলে যায় এবং কোম্পানি তা সেভ করে থাকে। এই ভাবে আমাদের ব্যাক্তিগত ডাটা অপব্যাবহার হতে পারে। এর আগে আমরা শুনেছি জুগের বার্গের জনপ্রিয় ফেইসবুক থেকে প্রচুর পরিমানে ব্যাক্তি গত তাথ চুরি হয়েছিল।
এই বিষয়টি জানার পর আমরা নিজেরই সাবধান হতে পারি। আমরা প্রয়জনে অথবা শুধুমাত্র কৌতূহলি হয়ে যে কোনো এপ্লিকেশন মোবাইলে ইনস্টল করি। তাই ওই মোবাইলে যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করি তা ব্যাঙ্কের মতো পরিষেবা থেকে দূরে রাখতে হবে। অর্থাৎ ব্যাঙ্কের সঙ্গে যে মোবাইল যুক্ত করা আছে সেই নম্বরটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখতে হবে।
0 Comments